নকল এনজিও পুরশুরায়
1 min readশুভঙ্কর মুখার্জী :শুক্রবার দুপুরে পুরশুড়া থানার অধিকারীকেরা একটি খবর পান যে বাইরে থেকে একদল মহিলা নিজেদের নদীয়া জেলা প্রশাসনের মান্যতা প্রাপ্ত NGO এর পরিচয় দিয়ে পুড়শুড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুলিবাগা গ্রামের রাজকুমার দোলুই এর বাড়িতে এসে তার স্ত্রী মামনি দলুই কে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করছে।। খবর পাওয়া মাত্র পুড়শুড়া থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনা স্থলে পৌঁছায় এবং উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ভাগ্যফল রাজবংশী নামক মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার এক বাসিন্দা মারফত যোগাযোগ করে নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার পাঁচ জন ভদ্রমহিলার একটি দল নিজেদের নদিয়া জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত এনজিও পরিচয় দিয়ে উক্ত রাজকুমার দুলুইয়ের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা একটি এনজিও চালায় – যার নাম আলোর দিশা।। এরপর থানার অফিসার অনুমোদন পত্র এবং এনজিওর বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। এমনকি তাদের নিজেদের কোন পরিচয় পত্রও দেখাতে পারেন নি।। এই পরিস্থিতিতে সন্দেহ দৃঢ় হওয়ায় পুনরায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই মহিলারা মিথ্যা এনজিওর নাম করে ভাগ্যফল বাবুর থেকে টাকা নিয়ে রাজকুমার দোলুই এর বাড়ি থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে ভাগ্যফল বাবুর কাছে এনে দেওয়ার জন্য এখানে আসে। এও জানা যায় উক্ত রাজকুমার দোলুইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার থেকেও টাকা হাতিয়ে নেয়।। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছে ভাগ্যফল রাজবংশীর সঙ্গে উক্ত মামনি দলুই এর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েন এর সুযোগ নিয়ে তাদের থেকে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করাই এই দলটির মূল উদ্দেশ্য ছিল।। সমগ্র পরিস্থিতি বিচার করে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে উক্ত পাঁচজন ভদ্রমহিলা নিজেদের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার পাশাপাশি ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার মতো অপরাধে জড়িত। এমতাবস্থায় উক্ত পাঁচ জন ব্যক্তিকে আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে গ্রেফতার করা হয় এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের উপযুক্ত ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় এবং আজ তাদের সকলকে আরামবাগ আদালতে পেশ করা হয়।। নকল এনজিও নামে এর আগেও নানান প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসলেও পুরশুড়ার থানার সক্রিয়তা বড়োসড়ো দুর্ঘটনা এরতে পেরেছে।