উৎপাত বাড়ছে ডিজিটাল মিডিয়ার?!
1 min readদিনে দিনে ডিজিটাল মিডিয়ার খবর যেভাবে মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে দু একজনের হয়তো মনে হতেই পারে এই ডিজিটাল মিডিয়ার উপদ্রব বেড়ে চলেছে। কারা এই কথা বলছে? কোন রাজনৈতিক নেতা? একদমই নয় । ডিজিটাল মিডিয়া আসার পরে যাদের অস্তিত্বের টান পড়েছে তারা এই কথা বোঝাতে চাইছেন একটা বড় অংশের মাতব্বরদের। এবার বেশ কয়েকটি বিষয়ে আমরা আলোকপাত করবো আপনাদের সামনে। একটা সময় ল্যান্ড লাইন ফোন অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ছিল, কিন্তু কালের অমোঘ নিয়মে তার জায়গা নিল কিপ্যাড ফোন আজ হারিয়ে গেছে ল্যান্ডলাইন ফোন। তারপরে ল্যান্ড লাইন ফোনের জায়গা নিল স্মার্টফোন। ইন্ডিয়া ডিজিটাল হবে এই কথাটা শুনলে একটা সময় যারা হাসতেন আজ তারা গুগল পে অথবা ফোন পের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন। করোনা মহামারীর দুটি ধাক্কা মানুষের অর্থনৈতিক রোজগার বাড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে,কিন্তু ভারতের মতো বিশ্বের সমস্ত দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল এই মহামারি । করোনার পর কমেছে টিভির রিচার্জ । হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষগুলো নির্ভরশীল হয়েছে নিজেদের স্মার্টফোনের উপর। টেলিভিশনের পর্দায় চলা মা বোনের জনপ্রিয় সিরিয়াল কিছুটা হলেও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে, ব্লগার আর youtube কনটেন্ট ক্রিকেটারদের আধিক্যে। করোণা মহামারী মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রাকে অনেক অংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনার এলাকার কেবিল অপারেটর কে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর পেয়ে যাবেন করোনার আগে টেলিভিশনের রিচার্জ কতজন করতেন আর এখন টেলিভিশনের রিচার্জ কজন করেন। মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ডিজিটাল ও OTT প্ল্যাটফর্ম গুলোর উপর। মায়েরা কোন কোন সিরিয়াল তাদের স্মার্টফোনে হটস্টার অথবা অ্যামাজন প্রাইম এর মাধ্যমে দেখতে পেয়ে যান। টেলিভিশন চ্যানেলের সিরিয়াল গুলো জায়গা পেয়েছে OTT প্ল্যাটফর্মে। এমনকি সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অনুধাবন করেছে ফেসবুক এবং ইউটিউবে নিউজ পরিবেশন করলে তা অনেক তাড়াতাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তাই আনন্দবাজার পত্রিকার মতো রাজ্যের প্রথম সারির পত্রিকাও আজ ইউটিউবে খবর পরিবেশন করে থাকে। জাগো বাংলা বিশ্ব বাংলার পাশাপাশি শিলিগুড়ি টাইমস,আরামবাগ টিভি, বিতর্কিত, কলকাতা মিরর, The কলকাতা মিরর,, SSTV, প্রথম কলকাতা,Digitalindian GoldenIndia ও ফেইসবুক ও ইউটিউবে দর্শক সংখ্যা ও ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রথম শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম গুলোর একাংশ কে কপালে ভাজ ফেলতে বাধ্য করে । প্রথম বিশ্বের দেশগুলো যেমন ডিজিটাল মিডিয়াগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে,তেমন ভারত বর্ষ ও ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর স্বীকৃতির বিষয় নতুন আইন আনার পথে চলছে, এবছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন সমস্ত পোর্টাল মিডিয়া গুলোকে( যাদের বৈধ কাগজ আছে ) পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিউস কভার করার অনুমোদন দিয়েছেন ।আজ সমস্ত সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যম একদিকে যেমন তাদের পোর্টালের(ওয়েবসাইট )মাধ্যমে খবর পরিবেশন করছেন , অন্যদিকে প্রত্যেকে চলে এসেছেন ইউটিউব ও ফেসবুকের মত সোশ্যাল সাইড গুলোতে। প্রতিটি জেলায় কর্পোরেট হাউস গুলোর ডিজিটাল মিডিয়ার সামলানোর জন্য একজন করে সাংবাদিক থাকেন। কিন্তু ডিজিটাল মিডিয়ায় পরিবেশিত কোন খবর কি ডকুমেন্টস হিসাবে থাকতে পারে? ডিজিটাল মিডিয়া অর্থাৎ ফেইসবুক, ইউটুব,টুইটার,ইনস্টাগ্রাম এইসব জায়গায় পরিবেশিত খবর কি ভবিষ্যতের দলিল হতে পারে? এর উত্তরে ডিজিটাল যুগে জন্ম নেওয়া কোন বাচ্চা হাসতে হাসতে বলতে পারে হ্যাঁ। কিন্তু আমি আপনি যারা ডিজিটাল প্রজন্মের নয় ,তারা প্রশ্ন তুলতেই পারি কেন??দেশে কোন বিপদকালীন পরিস্থিতি বা কোন ব্যক্তি দেশের হয়ে পদক জয় করলে প্রধানমন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে ( সোশ্যাল মিডিয়ায় ) সেই বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির ফেসবুকে পোস্ট করা কোন বক্তব্য স্টেটমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করে তা খবর হিসেবে পরিবেশিত হয়। আইনি ক্ষেত্রও আজকের দিনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে ডকুমেন্টস হিসেবে গ্রহণ করা হয় ।ফেসবুক অথবা ইউটিউবে কোন ভাইরাল হওয়া ভিডিও সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত হবার সময় লেখাথাকে এই ভিডিওর সত্যতা সংবাদ মাধ্যম যাচাই করেনি। কোন ব্যক্তি কোন স্টেটমেন্ট মৃত্যুর আগে বা বা কোন ক্রাইম করার আগে তা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকলে তা যদি আইনের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ডকুমেন্টস হিসেবে বিবেচিত হয়। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঁচ বছর আগে পরিবেশিত সত্য সংবাদ কি যেই সংবাদে দোষী এবং অভিযোগকারী উভয় পক্ষের বক্তব্য থাকে তাও কিন্তু ডকুমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এবং এই ডকুমেন্টস বছরের পর বছর জ্যান্ত দলিল হিসেবে থেকে যায় ফেসবুক ইউটিউব টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে। মানুষ কোন জিনিসের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বা কমাতে পারেনা ইতিহাস তার প্রমাণ। তেমন ডিজিটাল ইন্ডিয়া যুগে সমস্ত সংবাদমাধ্যমগুলো যেমন সমান গ্রহণযোগ্যতা আছে তেমন ডিজিটাল মিডিয়ার গ্রহণযোগ্যতা যে বেশ কয়েকশো গুণ বেড়েছে তার প্রমাণ আনন্দবাজার পত্রিকার ইউটিউব চ্যানেল।