যুবরাজ যদি ক্যানসারে মারা যেত, তাহলে আমি বাবা হিসেবে গর্বিত হতাম
1 min readভারতীয় ক্রিকেট দলে এক বিতর্কিত রঙিন চরিত্রের নামে যোগরাজ সিং। ছেলের বিষয়ে কথা হলে কাওকে ছেড়ে কথা বলেন না যুবরাজ সিং এর পিতা যোগরাজ সিং। ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার তথা অভিনেতার মুখে যেনো কোনো লাগাম ই নেই, শুধু মুখে নয় কাজেও তাই তো দলে সুযোগ না পাওয়ায় কপিল দেবের বাড়ির সামনে পিস্তল হাতে চলে যাওয়ার রেকর্ড অথবা যুবরাজের ক্যারিয়ার শেষের জন্যে মহেন্দ্র সিং ধোনি কেও কাঠগোড়ায় তুলতে ছাড়েন নি এই অভিনেতা ক্রিকেটার। তিনি একটি পড কাস্ট এ দাবী করেন যে তিনি তার ছেলের থেকেও ভালো খেলোয়ার ছিলেন। এর সাথে তিনি যোগ করেছেন ‘আমাদের দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে, যুবরাজ যদি ক্যানসারে মারা যেত, তাহলে আমি বাবা হিসেবে গর্বিত হতাম। যদিও আমি ছেলের জন্য় গর্বিত। ওর যখন মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল, আমি তখনও ওকে ফোনে বলেছিলাম, চিন্তা করো না, তুমি দেশকে বিশ্বকাপ জেতাবে। তবে আমি এটা বলব যে, যুবরাজের চেয়ে অনেক ভালো ব্যাটার ছিলাম আমি। ও যদি ওর বাবার ১০ শতাংশও কাজ করত, তাহলে ও দারুণ ক্রিকেটার হত’!দুবার বিশ্বকাপ জয়ী যুবরাজের বাবার এহেন দাবী হাস্যকর কারণ তিনি তার ক্রিকেট জীবনে ১টি মাত্র টেস্ট ও ৬টি ওডিআই খেলেছেন। তার জীবনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসাবে লাল বলে গড় ৫. ০০ সাদা বলে ০. ৫৯. টেস্টে নিয়েছেন ১ উইকেট ওয়ান ডে তে ৪টে উইকেট। তাই কার্যত পুত্রের সাথে পিতার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের কোনো তুলনাই চলে না।ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং ২০০০ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু যুবরাজের। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে তাঁর ৬৯ রানের ইনিংস এখনও ক্রিকেটপ্রেমীর স্মৃতিতে উজ্বল হয়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় বলে ছয়টি ছয় মেরে বিশ্ব ক্রিকেটে রেকর্ড তৈরী করেছিলেন যুবরাজ । ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে যুবরাজের অবদান ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম মুখ যুবি ক্যানসার নিয়ে বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন ব্যাটের পাশাপাশি অবদান রেখেছিলেন বলেও। তাই যুবরাজের সাথে নিজের তুলনা করে আবারো নেটদুনিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুললেন যোগরাজ সিং