উত্তরপাড়ার পোস্টার বিতর্কে নতুন মোড়
1 min readপাল্টা খেলা শুরু! দিলীপ যাদব ঘনিষ্ট তৃণমূল কাউন্সিলারের রাজনৈতিক ফতোয়া,,সন্দীপ দাসের ফেইসবুক পোস্ট ঘিরে জোর জল্পনা।রাতারাতি উত্তরপাড়া শহর জুড়ে গেলো চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের অভিযোগ দিয়ে তৈরী একাধিক পোস্টারে। উত্তরপাড়ার প্রাণ কেন্দ্র কাঁঠাল বাগান বাজার থেকে শুরু করে উত্তরপাড়া ৫-৬-১৫-২১-২২ নাম্বার ওয়ার্ড সহ একাধিক জায়গায় পড়লো চেয়ারম্যানের স্বজন পোষণ, দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ দিতে পোস্টার। পোস্টার কাণ্ডে তৃণমূল কাউন্সিলার দের উদ্দেশ্যে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন উত্তরপাড়া প্রাক্তন বিধায়ক বর্ষিয়ান সিপিআই এম নেতা শ্রুতিনাথ প্রহরাজ(প্রফেসার), দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন “উত্তরপাড়া পৌরসভায় কাউন্সিলার হিসাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন আমার তো মনে হয় প্রত্যেকের ই সম্পদ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, তার যদি বলেন যে প্রাক্তন বিধায়ক হিসাবে আমার সম্পদ নিয়ে তদন্ত হোক আমি তাইতে এক কথায় রাজী” বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা প্রণয় রায় এই পোস্টার বিতর্ক কে ভাগের রাজনীতি বলে দাবী করে জানান, “উত্তরপাড়া সহ গোটা রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি চলছে। এখন যেটা চলছে সেটা হচ্ছে ভাগের লড়াই, কে কার থেকে বেশি ভাগ নেবে ভাগ পাবে সেই লড়াই চলছে। কিন্তু মাঝ খান থেকে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে জল জীবন মিশন সহ একাধিক প্রকল্পে সেই প্রকল্পের কাজের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। যদিও বিজেপির উত্তরপাড়া মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় বণিক জানান বেআইনি অবৈধ নির্মাণ থেকে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি এই বিষয়ে তারা একাধিক বার ডেপুটেশন দিয়েছেন, পৌর নিয়োগ সম্পর্কিত দুর্নীতি নিয়ে তিনি জানান আমরা লিখিত আকারে চিঠি দিয়েছি । তিনি দাবী করেন এই পোস্টার বিতর্ক শাসক দলের মধ্যই বিরদের পরিণতি হতে পারে। চেয়ারম্যানের ব্যবহার সংশোধনের অনুরোধ জানান উত্তরপাড়া বিজেপি মন্ডল সভাপতি। যদিও উত্তরপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানান উত্তরপাড়ার মানুষ এই পোস্টার রাজনীতিকে বিশ্বাসই করেনা কারণ উত্তরপাড়ার মানুষ উন্নয়নের সাথে থাকে বলেই আমরা ২০০০ সাল থেকে জয়লাভ করে আসছি, উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যানের সাধারণ মানুষের জন্যে এবং তার ব্যবহার ও যথেষ্ট ভালো বলেই দাবী করেন উত্তরপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রজিত ঘোষ, এবং উত্তরপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা তিনি কার্যত নস্যাৎ করে উড়িয়ে দেন। কিন্তু এই বিষয়ে উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যানের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উত্তরপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান জানান আমি এই বিষয়ে কিছু বলবো না দলীয় নেতৃত্ব কে জিজ্ঞাসা করুন তবে তিনিও চেয়ারম্যানের ব্যবহার নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তোলেন।বিজেপির মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় বণিক জানান জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন জনগণের মাধ্যমে আর তার পরে জনগণের সাথেই তার খারাপ ব্যবহারের কথা যখন বরং বার প্রকাশ্যে আসে তখন প্রশ্ন ওঠে ব্যবহারে মানুষ কে যে সন্তুষ্ট করতে পারছেন না তিনি কিভাবে পরিষেবা দিয়ে মানুষ কে সন্তুষ্ট করবেন।রাত পেরোতে না পেরোতে দিলীপ যাদব ঘনিষ্ট কাউন্সিলার সন্দীপ দাস তার ফেইসবুক পোস্টে পাল্টা খেলার রাজনৈতিক ফতোয়া জারী করেন তিনি তার ফেইসবুক পোস্টে লেখেন “সি,সি,টিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে, তোমরা কারা কার নির্দেশে হয়েছে সব পরিষ্কার, এবার খেলা শুরু, প্রসঙ্গ পোস্টার.।”যদিও তার সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে চান নি। সি,সি টিভি ফুটেজ সম্পর্কে তিনি জানান এই বিষয়ে পুলিশ বলবে।সন্দীপ দাসের এই পোস্ট ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে তবে এই পাল্টা খেলা কি দলের মধ্যেই শুরু হয়ে গেলো। পোস্টার বিতর্কে সন্দীপ দাসের ফেইসবুক পোস্ট “কারা কার নির্দেশে হয়েছে সব পরিষ্কার”। এর পরেই তিনি ফেইসবুক পোস্টে পাল্টা খেলার রাজনৈতিক ফতয়া জারী করে লিখেছেন “এবার খেলা শুরু এবার দেখে নেবো পোস্টারে কি এমন লেখা ছিলউত্তরপাড়ার সহনাগরীকদের প্রতি বার্তাকৃষ্টি সংস্কৃতির মেলবন্ধন, প্রাচীনত্ব ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উত্তর পাড়ায় দিলীপ যাদব কে চেয়ারম্যান হিসাবে আর চাই না।মহামায়া হাসপাতালে রোগীদের ঔষধ ব্যাপক হারে চুরি- কার মদতে? বিচার চাই।এই পৌরসভায় সীমাহীন ট্যাক্সের বোঝা, মনে হচ্ছে ব্যাবসায়ীরা ব্যবসা করে অনেক বড় অপরাধ করছে।সীমাহীন ট্যাক্সের কোপে উত্তরপাড়া পৌরসভায় সাধারণ মানুষও ছাড় পাচ্ছে না, তাদের নাভিশ্বাস উঠছে।একদিকে দিলীপ যাদব অপর দিকে তার মদতপুষ্ট দু-এক জন কাউনসিলার নিয়ে স্বৈরাচারী পৌর শাসন চলছে।উত্তরপাড়া পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তর থেকে আসা আয়-এর কোন হিসাব নেই।মানুষের সাথে দিলীপ যাদবের দূর ব্যবহার প্রমান করে উত্তরপাড়া পৌরসভা এটা তারই নিজস্ব কোম্পানী।দিলীপ যাদব তার পেটোয়া কয়েকজন কন্ট্রাক্টরকে বে-আইনী ভাবে কোটি কোটি টাকার কাজ দিচ্ছে বাকিরা সবাই বঞ্চিত।যাদব পরিবারতন্ত্রের নেতৃত্বে দুষ্কৃতি রাজ, তোলাবাজি, কাটমানি গরীব চাষীদের অল্পদামে জমি জবর দখল ও স্বৈরাচারী শাসন চলছে।বার বার একই রাস্তার নির্মান করে ভাঙ্গা হচ্ছে এটি কিসের ইঙ্গিত।উত্তরপাড়ার কোটি কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ হচ্ছে কিন্তু ১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই শহর প্লাবিত এটি গর্বের শহরে লজ্জা।প্রত্যেক প্রকল্পের কাজে দিলীপ যাদবের 5% বা তারও অধিক কাট মানি। একবার ভাবুন।অর্থের বিনিময়ে উত্তরপাড়া পৌরসভায় চেয়ারম্যান চাকুরি দিচ্ছে।এই সব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে আসুন আমরা সকলের আমাদের সকলের প্রিয় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দিদিকে বল নাম্বারে অভিযোজ জানান- 9137091370।প্রচারে উত্তরপাড়া সাধারন নাগরীকবৃন্দপোস্টার বিতর্কে