অনড় করবী ,ফিরতে হলো রেলের আধিকারিকদের
1 min read
শুভঙ্কর মুখার্জি : রেলের নানা কাজের জন্য রাজ্যের সর্বত্রই চলছে রেললাইন সংলগ্ন নানা জবরদখলকারী ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের কাজ, সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি হরিপালও। রেলের জমিতে অবৈধ জবরদখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধা পেলেন রেলের আধিকারিকরা। রাত অব্দি বিক্ষোভ দেখানো হলো তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং হরিপালের বিধায়িকা ডঃ করবি মান্না, ব্লক সভাপতি দেবাশীষ পাঠক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুচন্দ্রা ধোলে অধিকারী , সহ সভাপতি বাবলু গায়েন, আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকার, অলোক সাঁতরা, শ্রীকান্ত ঘোষ সহ অন্যান্যরা।কার্যত পিছু হটতে হলো রেল আধিকারিকদের।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রেলের হকার উচ্ছেদকে থমকে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না।এ বিষয়ে বিধায়ক ডঃ করবী মান্না বলেন, “শেষ পর্যন্ত রেলের আধিকারিকদের কথায় আমরা তাদের সাথে দেখা করতে যাই তারা আমাদের দাবি শুনতে চায়। লিখিতভাবে আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি সবার আগে আমাদের দাবি ছিল আজকের উচ্ছেদ অভিযান তুলে নিতে হবে, না হলে আজ আমরা সারারাত এখানে অবস্থান বিক্ষোভ করবো। দ্বিতীয় দাবি এখানে হকারদের পুনর্বাসন করাতে হবে,তারপর রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের কথা ভাববে। তিনি আরো জানান আগামী ১৭ ই এপ্রিল রেলের সাথে আলোচনায় বসা হবে, এছাড়াও অন্যতম দাবি হিসেবে কালভার্ট তৈরীর দাবিও থাকবে।”এবিষয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন,”রেল যাত্রীদের জন্য এই উচ্ছেদ প্রয়োজন। রেলের কাজে বাধা মানে উন্নতিকে থমকে দেওয়া। আর পুনর্বাসন নিয়ে তিনি বলেন, “রেলের ফাঁকা জায়গায় যাঁরা ব্যবসা করেছেন, তাঁদের দায় রেলের নয়। ওঁরা বেআইনি কাজ করেছেন। কোনও পুনর্বাসন দেওয়া হবে না।”বিধায়িকার এই ভূমিকায় একদিকে যেমন আলোর দিশা পেলো স্টেশন সংলগ্ন জবর দখল করা হকাররা অন্যদিকে থমকে গেল রেলের কর্মকান্ড।