চলে গেলেন সকলের প্ৰিয় নিলুদা
1 min read
কিছু মানুষের মৃত্যু কান্নার কারণ হয় আর কিছু মানুষের অস্তিত্ব যন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠে। নিলু দা ওরফে নীলরতন কুন্ডু হুগলী জেলার প্রবীণ একজন সাংবাদিক। তাকে নিয়ে দুই এক কলম লিখতে গেলে প্রথমেই লিখতে হয় অহংকারহীন নির্ভীক একজন সাংবাদিক, একজন সাদামাটা মানুষ যিনি সিনিয়ার বলে সব সুযোগ একা নেবেন তেমন মানুসিকতা নয় বরং সাংবাদিকতা পেশায় নতুন দের সাথে আলোচনা করে ভুল ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে শুধু প্রবীণ নয় নবীন দের ও অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসার মানুষে পরিণত হয়েছিলেন, শুধু সাংবাদিক বললে ভুল হবে পুলিশের কাছেও ভরসার নাম ছিলো নিলু দা।আজকাল পত্রিকার সাংবাদিক নিলরতন কুন্ডু জনমানুষে বেশ কয়েক দশক ধরে প্রভাব ফেলে ছিলেন।তাই তো চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় সাংবাদিকদের পাশ বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশের ভরসা ছিলেন তিনিই। হাতে গোনা ৭-৮ বার দেখা হয়েছিল নিলুদার সাথে। “ভালো কাজ করছো কে কি বললো না দেখে এগিয়ে যাও আমিও তোমাকে ফলো করি” স্বল্প ভাষী নিলুদার থেকে জানা যেতো জেলায় সাংবাদিকতার নানান কিশলয়। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন নিজে ডেকে শ্রীরামপুর কালেজের বাইরে চায়ের দোকানে চা খাওয়ালেন সাথে আড্ডা, জেলায় সাংবাদিকতা করতে যেই অসুবিধা গুলো আসছে সেগুলো নিলু দা কে বললে শুনে মাথা নেড়ে টিকে থাকার উপায় বলেন নিলু দা। “তোর কাজ ভালো নিজের কাজে আরও ফোকাস কর”.. তোকে অনেকেই ফলো করে”…। একটা সিনিয়ার সাংবাদিক নিজে থেকে ডেকে চায়ের আড্ডা সাথে কিছু টিপস। নিলু যে সব বয়সের মানুষের সাথে সমান ভাবে সাবলীল এমন একজন মানুষ ছিলেন তার কথার প্রতিটি মোচড়ে ছিলো অভিজ্ঞতা আর আর সমাধানের আলো। যখন আমরা মাধ্যমিকের গন্ডিই পেরোই নি তখন নিলু দা জেলায় প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। তাই আমার মতো সাধারণের কাছে নিজের আবেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন অনেক অভিজ্ঞতার কথা। জেলায় সাংবাদিক জগতে পর পর দুই নক্ষত্রের পতন, একটা শিক্ষাই দিলো..
কলমের কালি শুকিয়ে যায়।
মানুষের জীবনও দপ করে নভে যায়।
ঔদ্ধত্ব আর অহংকার আত্মসুখ দেয় ঠিকই।
কিন্তু হঠাৎ যখন জীবনের আলো নিভে যায়,তার পরেও ভালো মানুষেরাই সকলের হৃদয়ে থেকে যায়।
টাকা আর ব্যক্তি স্বার্থ জীবনে সুখ এনে দেয় বটে।
খারাপ মানুষদের সমর্থন করলে হয়তো কিছু সুবিধা ও পাওয়া যায়।
নির্ভীক মানসিকতা, মানুষকে ভালোবাসা, ও সুন্দর হৃদয় থাকলে তবেই নীলুদা হওয়া যায়।
মৃত্যুই যখন শেষ কথা তাহলে জীবনে একটু জায়গা করতে কেনো লাগে শত মিথ্যা কথা, আর প্রতারণা!?