বাংলা এসে জয় মা কালী দিল্লী গিয়ে খেদাও বাঙালিশুধু “জয় মা কালী”উচ্চারণ করলেই শক্তির আরাধনা হয় না,
1 min read
উত্তর কলকাতা থেকে সেখ আব্দুল আজিমের রিপোর্ট : বাংলা এসে জয় মা কালী দিল্লী গিয়ে খেদাও বাঙালিশুধু “জয় মা কালী”* উচ্চারণ করলেই শক্তির আরাধনা হয় না,বাংলার মাটি ও বাঙালির সংস্কৃতিকে অসম্মান করে দেবীকে নিয়ে রাজনীতির ভণ্ড ভক্তি মানা যায় না—এই বার্তাই উচ্চারিত হলো সৌম্য বক্সি ও স্মিতা বক্সির,সঞ্জয় বক্সি উদ্যোগে আয়োজিত গিরিশ পার্ক চারের পল্লীর শ্যামা পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবিবার,২৭শে আগস্ট,যুব তৃণমূলের জন্মদিবসের প্রাক্কালে, বাংলা ও বাঙালি ইস্যুকেই সামনে রেখে সূচনা হলো এই অনন্য কালীপুজো।শক্তির আরাধনা,বাস্তবের নারীর সম্মান।এই শ্যামা পুজোর মূল মন্ত্র শক্তির আরাধনা মানেই কেবল দেবীকে ধূপ,ধুনো দেওয়া নয়,সমাজ জীবনে যারা নিত্যদিন শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন,তাঁদের সম্মান জানানো।সেই কারণেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হলো পাঁচজন অসামান্য নারীকে,যারা ভিন্ন ভিন্ন পেশার মাধ্যমে সমাজে শক্তিরূপে পরিচিতমহিলা বাস চালক প্রতিমা পোদ্দার,মহিলা ডোম টুম্পা দাস,পুলিশ অফিসার তনুশ্রী মজুমদার,মৃৎশিল্পী মালা পাল,মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক,তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো শাল–শ্রীর উপহার এবং পুষ্পস্তবক।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট অতিথিরাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা,মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,সাংসদ সায়নী ঘোষপৌরমাতা এলোরা সাহাসন্দীপন সাহা,রঞ্জন পালমেয়র পারিষদ সদস্য সন্দীপ রঞ্জন বক্সি,প্রবীণ নেতা শক্তি প্রসাদ সিংহ প্রমুখ তাঁদের হাতে অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্মারক সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।উদ্বোধনী সংগিত অনুষ্ঠানে গণেশ বন্দনার মাধ্যমেএরপর অতিথি অভ্যর্থনা ও সম্মাননা পর্ব তারপর সম্মানিত নারীদের অনুষ্ঠানেই জমে ওঠে পুজোর প্রথম দিনের আসর।পুরো পরিবেশ ভরে ওঠে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা,আলোচনাসভা ও প্রতিবাদী চেতনার মেলবন্ধনে।