ভারতের কাছে হারের পরেই সমাপ্ত হলো বাংলাদেশী ক্রিকেটে একটা বড় অধ্যায়
1 min readভারত বনাম বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে হারের পরে বাংলাদেশ হারালো তাদের ক্রিকেটীয় আবেগ সাকিব আল হাসান কে। অবসর ঘোষণা করলেন কিংবদন্তি বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান । বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটার একটা বা দুটো ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স না করতে পারলে তাদেরকে নিজেদের দেশের ভক্তদের থেকে শুনতে হয় চূড়ান্ত বিদ্রুপ। শুধু ভক্ত নয় সংবাদমাধ্যমে এক অংশ তাদের দেশের তথাকথিত নামিদামি ক্রিকেটারদের অবসর নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাদের গণমাধ্যমে। এবার সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন বাংলাদেশী কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি ঘোষণা করেন যদি সুযোগ থাকে আমি যদি দেশে গিয়ে খেলতে পারি তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ অর্থাৎ অবসরের ঘোষণা করলেন সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা প্রসঙ্গে কিংবদন্তি ক্রিকেটার জানান মানুষ আমার থেকে অনেক বেশি আশা করে তাই এই ধরনের কথা বলে। তিনি জানান যেহেতু দেশের অনেক পরিস্থিতি আছে স্বাভাবিকভাবেই হয়তো সবকিছু আমার উপর নয় স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়গুলো আমি বিসিবির সাথে যোগাযোগ করেছি তাদেরকে বলা হয়েছে যে আমার কি প্ল্যান তিনি বলেন ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট এবং হোম সিরিজ আমার শেষ ম্যাচ হবে। তিনি বলেন বোর্ডের সিলেটারদের সাথে আমার কথা হয়েছে যদি সুযোগ থাকে দেশে গিয়ে আমি খেলতে পারি মিরপুরটেস্ট হবে আমার জন্য লাস্ট। অর্থাৎ অক্টোবরের দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিরপুরে আয়োজিত টেস্টই শেষ ম্যাচ হতে চলেছে সাকিবের ।তিনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বলেন তারা চেষ্টা করছে যে এটাকে কিভাবে সুন্দর ভাবে এরেঞ্জ করা যায় যাতে করে আমি গিয়ে খেলতে পারি নিরাপদ ফিল করি সাথে সাথে দেশের বাইরে বেরিয়ে আসতে আমার কোন সমস্যা না হয়। কার্যত এই প্রেস মিটে একটি জিনিস সামনে আসে চাপের জন্য এবং দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য তাকে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। তার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন। সাকিবের এহেন কথায় প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দেশে নিরাপদ নয় সাকিব?সাথে সাথে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় তিনি নিজের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করে। প্রশ্ন তাহলে কি বিদেশে পরিবারের সাথে অবসর জীবন কাটাতে চাইছেন এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শুধু টেস্ট নয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও কার্যত বিদায় জানালেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। সাথে সাথে তিনি জানান নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত।সাথে তিনি জানান ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের দিকে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড যদি তাকায় তাহলে নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত, এই জন্যই তার এই সিদ্ধান্ত।