মায়না বাড়লো চেয়ারম্যান ঘনিষ্টদের ?একনায়কতন্ত্রের অভিযোগে সরব ভাইস-চেয়ারম্যান সহ তৃণমূল কাউন্সিলার
1 min readএবার তৃণমূল কাউন্সিলার ও ভাইস চেয়ারম্যান এক নায়ক তন্ত্রের অভিযোগ আনলো হুগলীর উত্তরপাড়া পৌরসভার পৌরো-প্রধানের বিরুদ্ধে।অভিযোগ পৌরসভার বোর্ড মিটিং এ অশান্তি, ভাইস চেয়ারম্যান সহ তৃণমূল কাউন্সিলার তাপস মুখার্জীর অভিযোগ মাইনে বাড়লো শুধু চেয়ারম্যান ঘনিষ্ট পৌরো কর্মীদের। তাদের অভিযোগ এর ফলে অসন্তোষের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে পৌরসভায়। যদিও পৌরসভার সূত্র মারফত খবর মাইনে বেড়েছে কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে। এবিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান খোকন মন্ডল জানান যারা কর্মচারী আছেন তাদের মধ্যে একটা ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে পক্ষপাতীত্বের ব্যাপার নিয়ে , ওরা বলছে এটা চেয়ারম্যানের পছন্দ মতো হয়েছে।
প্রশ্ন কিসের ভিত্তিতে মাইনে বাড়লো?
এর উত্তরে খোকন মন্ডল জানান “তাহলে আর এই প্রশ্ন টা আসবে কেনো।তিনি বলেন পারফরমেন্স অবশ্যই দরকার আছে কিন্তু এটা ওই হিসাবে করা হয়নি।
প্রশ্ন আপনি ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে কিছু করতে পারছেন না কেনো?
খোকন মন্ডল জানান উত্তরপাড়া কোতরং পৌরসভায় কখন কি সিদ্ধান্ত হয় আমরা নিজেরাই জানি না।।তিনি আরো জানান বোর্ড মিটিং তো প্রতি মাসেই হয় কিন্তু আগে থেকে তো সিদ্ধান্ত হয়েই থাকে সেখানে তো আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারিনা।এই সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান ই ন্যায়। এই বিষয়ে উত্তরপাড়া পৌরসভার আর এক তৃণমূল কাউন্সিলার তাপস মুখার্জী জানান ভাইস চেয়ারম্যান কে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে।তিনি জানান “এই বোর্ড মিটিং তার আগের বোর্ড মিটিং এ চেয়ারম্যান একটা লিস্ট বলেছিলো কিছু লোকের মাইনে স্পেশাল ভাবে বাড়ানো হবে।উনি একটা লিস্ট আমাদের দিয়ে ছিলেন সেই লিস্টে পৌরসভা ধরুন ১০ জন কর্মী তার মধ্যে ৬ জন কে বাড়িয়েছেন আর ৪ জন কে বাড়ান নি।এটা নিয়ে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম আমি বলেছিলাম আপনি যদি বাড়ান সবাই কে বাড়াবেন।তখন চেয়ারম্যান দাবী করেন যারা ভালো কাজ করছেন তাদের কি হবে তখন তাপস মুখার্জী জিজ্ঞাসা করেন ভালো কাজের মূল্যায়ন টা কিভাবে হবে?তৃণমূল কাউন্সিলার জানান এই বিষয়ে ১০০% স্বজন পোষণ হচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যান খোকন মন্ডল জানান পৌরসভার নতুন নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার চেকে চেয়ারম্যান অথবা কোনো পৌরো বোর্ড সদস্য সাক্ষর করতে পারেন না সেক্ষেত্রে অধিকারীর CO,বা এক্সিকিউটিভ অফিসার সাক্ষর করতে পারেন তিনি জানান নিয়মের তোয়াক্কা না করে পৌরোপ্রধান দিলীপ যাদব ই এখনো সাক্ষর করে চলেছেন। শুধু তাই নয় স্ক্র্যাব যেইগুলো বিক্রি হয় তার টাকা কিভাবে কোথায় যায় সেই সম্পর্কেও আমরা ওয়াকিবহাল নই। এই বিষয়ে বিজেপির মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় বণিক জানান একটা পৌরসভা চালাতে গেলে পৌরসভার সমস্ত প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে,যেকোনো টেন্ডার থেকে কোনো ভালো কাজ থেকে শুরু করে যে কোন সমস্যা আলোচনা করে স্বচ্ছতার সঙ্গে উনার করা উচিত সেই স্বচ্ছতা থাকছে না সেই অভিযোগ উনার দলের লোকেরাই করছেন আমরা তো বিরোধী আমরা তো করবোই।উনি যে স্বচ্ছ নয় সেটা বার বার করে প্রমাণিত হচ্ছে।সঞ্জয় বণিক জানান উনি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মানুষ কে চুপ করিয়ে রাখে আদেও উনি জানেনা না সবাই কিন্তু কিছু না কিছু জানে, উনি যে এক ব্যক্তি যিনি সবকিছু জানেন এটা নয়।উনি একটা চেয়ারম্যান আমরা তাই উনাকে সম্মান করি কিন্তু সেই সম্মান টাকে যদি উনি মনে করেন আমাদের দুর্বলতা সেটা কিন্তু কখনো নয়।পাপের বোঝা যখন বাড়তে থাকবে উনি ধসে পড়বে।তিনি উত্তরপাড়ার রাস্তা সম্পর্কে বলেন যত খুড়বে ততো টাকা। এর আগেও স্বজন-পোষণ ও একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ ছিলো উত্তরপাড়া পৌরসভায় কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান কে ঠুঁটো জগন্নাথ করে তার অজান্তেই তৈরী হয়ে যাচ্ছে লিস্ট এই অভিযোগে কি কার্যত চেয়ারম্যানের একাধিপত্ব ও ঔদ্ধত্য প্রণাম হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকদের একটা বড়ো অংশ ।।